Skip to main content

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয়। ডিসেম্বর। ২০১৮

প্রতিভার বিকাশ ও বর্তমান ভারত :

প্রতিভার বিকাশ ও বর্তমান ভারত :
প্রতিটি শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ জানেন সব সম্পদের সেরা সম্পদ হল মানব সম্পদ। কারণ এই সম্পদকে বাদ দিয়ে প্রকৃতির কোন সম্পদই সত্যিকারের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে না। আবার এই মানব সম্পদ সত্যিকারের সম্পদ হয়ে উঠতে অপরিহার্য হল তার প্রতিভা। এটা নিয়েই মানুষ পৃথিবীতে আসে। কিন্তু তার বিকাশ হয় এই পৃথিবীতেই। এক্ষেত্রে সরকারকে নিতে হয় গুরুদায়িত্ব। না হলে তা সম্পদ হয়ে ওঠে না। মানব সম্পদের বিকাশে তাই প্রত্যেকটি দেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়।

আমাদের দেশ বিগত কয়েক দশক ধরে এক্ষেত্রে পিছচ্ছে। ভয়ংকরভাবে এই ক্ষয়রোগ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেড়ে গেছে এবং বেড়ে চলেছে রাষ্ট্রের তথা সরকারের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে। 

আধুনিক ও বিজ্ঞান শিক্ষার বদলে প্রাচীন ও বাতিল হয়ে যাওয়া শিক্ষা-চিন্তা জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠক্রমে। হাস্যকর ও অযৌক্তিক দর্শনতত্ত্বের জন্ম দিয়ে মানুষকে অন্ধ ও অজ্ঞ করে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারকে সুকৌশলে সুকুমারমতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠক্রম এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে। চারিদিকে চোখ-কান খোলা রেখে দেখলে দেখা যাবে এ ধরণের উদাহরণের ছড়াছড়ি।

সুতরাং এদেশ যে প্রতিভার বিকাশে পিছবে তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?

সুইৎজারল্যান্ডের আইএমডি বিজনেস স্কুলের 'আইএমডি ওয়ার্ল্ড ট্যালেন্ট র‍্যাঙ্কিং ২০১৮' শীর্ষক সমীক্ষায় বিশ্বের ৬৩ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৫৩ হয়েছে। গতবারের ৫১ তম স্থান থেকে নেমে তার এই অবস্থান। 

Comments

  1. বিষয়টি সত্যিই বড় চিন্তার !

    ReplyDelete
  2. মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
    প্রত্যেক পাঠকের সুচিন্তিত মতামত পেতে আমরা খুবই আগ্রহী।
    ভালো থাকুন সঙ্গে থাকুন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. Asadharan, amar khub bhalo laglo aper lekhati.

      Delete
  3. সাথি,
    আপনার মতামত আমাদের উৎসাহিত করছে। উৎসাহ নিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, ভালো চিন্তায় থাকুন। সঙ্গে থাকুন।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয় । গ্লোবাল সংস্কৃতি - আলী হোসেন

গ্লোবাল সংস্কৃতি বাংলা সাহিত্য কাকে বলে? এ প্রশ্ন তুললে অনেকেই অবাক হবেন। অনেকে প্রশ্ন তোলার চেষ্টাকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেবেন। সহজেই বলে দেবেন, বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যই ‘ বাংলা সাহিত্য ’। আমাদের ক্ষমতা নেই উত্তরের নীচে লাল দাগ টেনে দিই। কিন্তু প্রশ্ন তোলার অধিকার আমার আপনার সাংবিধানিক অধিকার, আবার জন্মগতও। তাই, সেই অধিকারের উপর ভর করে আমরা আমাদের মতামত দিতেই পারি। তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক অগ্রগতির ফলে সমগ্র পৃথিবীটাই এখন ‘গ্লোবাল ভিলেজ’-এ পরিণত হয়েছে। ঐতিহাসিক কারনেই ইংরাজি ভাষা এখন আর শুধুই ইংরেজের নয়, এখন তা ‘গ্লোবাল ভাষা'। তাই দ্রুত বদলে যাওয়া পৃথিবীর সাথে নিজেকে অন্বিত করতে প্রায় প্রত্যেকেই এই ভাষার সাহায্য নিয়ে থাকেন। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে বসে যেকেউ যেকোন ভাষায় তার সময়কে (সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি...) বিশ্লেষণ করতে পারেন, অন্যের সামনে তুলে ধরতে পারেন। তাহলে কি বাংলা সাহিত্যকে ‘বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যকর্ম’ - এই গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখতে পারি? আসলে, সাহিত্য ভাষা-কেন্দ্রিক হওয়ার সময়টা বোধহয় শেষ হয়ে এসেছে। তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক অগ্রগতি মানুষকে আর নির্দি...

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয়। অক্টোবর। ২০২০। আলী হোসেন

সমাজতন্ত্রই প্রকৃত পথ। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পদ্ধতি এবং প্রকৌশল বদলায়। বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে যে পদ্ধতিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে বিপ্লব (পরিবর্তন) করা আজ অনেক কঠিন। তার প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয় না। মতপার্থক্যের কথা বলছেন? তা তো থাকবেই। ধনতান্ত্রিকদের মধ্যে মত পার্থক্য নেই? তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়? সুতরাং মতপার্থক্য থাকবে। আর এটাই স্বাভাবিক। এই মতপার্থক্যকে মতৈক্যে পরিণত করার দায় এবং দায়িত্ব একমাত্র জনগণেরই নিতে হয়। আমার, আপনার এবং আমাদেরই নিতে হবে। আমরা যদি বুঝতে পারি, দুটো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার (ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক) মধ্যে কোনটা আমাদের জন্য উপযুক্ত, তাহলে সেই ব্যবস্থার সমর্থকদেরকে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। তারা বহু দলে বিভক্ত হলেও, একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের ভিত্তিতে তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। ঐক্যবদ্ধ যে হতে পারে, তার উদাহরণ বামফ্রন্ট তৈরি হওয়া, ইউপিএ তৈরি হওয়া এবং এনডিএ তৈরি হওয়া। মানুষ যেদিকে যাবে, রাজনৈতিক দল সেই দিকেই পথ হাঁটতে বাধ্য হবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। এখন আমি বা আপনি, এককথায় আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে, আমরা কোন মতাদর্শের পক...