Skip to main content

Posts

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয়। অক্টোবর। ২০২০। আলী হোসেন

সমাজতন্ত্রই প্রকৃত পথ। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পদ্ধতি এবং প্রকৌশল বদলায়। বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে যে পদ্ধতিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে বিপ্লব (পরিবর্তন) করা আজ অনেক কঠিন। তার প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয় না। মতপার্থক্যের কথা বলছেন? তা তো থাকবেই। ধনতান্ত্রিকদের মধ্যে মত পার্থক্য নেই? তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়? সুতরাং মতপার্থক্য থাকবে। আর এটাই স্বাভাবিক। এই মতপার্থক্যকে মতৈক্যে পরিণত করার দায় এবং দায়িত্ব একমাত্র জনগণেরই নিতে হয়। আমার, আপনার এবং আমাদেরই নিতে হবে। আমরা যদি বুঝতে পারি, দুটো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার (ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক) মধ্যে কোনটা আমাদের জন্য উপযুক্ত, তাহলে সেই ব্যবস্থার সমর্থকদেরকে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। তারা বহু দলে বিভক্ত হলেও, একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের ভিত্তিতে তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। ঐক্যবদ্ধ যে হতে পারে, তার উদাহরণ বামফ্রন্ট তৈরি হওয়া, ইউপিএ তৈরি হওয়া এবং এনডিএ তৈরি হওয়া। মানুষ যেদিকে যাবে, রাজনৈতিক দল সেই দিকেই পথ হাঁটতে বাধ্য হবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। এখন আমি বা আপনি, এককথায় আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে, আমরা কোন মতাদর্শের পক
Recent posts

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয়। এপ্রিল। ২০১৯

ধর্ম ও সংস্কৃতির সম্পর্ক : সেঁজুতিকে খোলা চিঠি : সাথি সেঁজুতি, তুমি সুন্দর করে একটি নেতিবাচক ভাবনাকে ইতিবাচক ভাবনায় রূপান্তর ঘটালে। আসলে এই সহনশীলতার আজ বড়ই অভাব। এখানে (বাংলা সাহিত্য হোয়াটস অ্যাপ গ্রূপে) আমরা যারা আছি তাঁরা নিশ্চয়ই এভাবে ভাবতে পারি হয়তো। আমিতো খুবই পারি। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। একটু খুলে বলার চেষ্টা করি। প্রথমত: ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে যে সম্পর্ক তা বেশ জটিল। আমরা এই দুটিকে এক করে ফেলি। আসলে এই দুইয়ের মধ্যে অতিসূক্ষ অথচ তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য আছে। সংস্কৃতি বললে একটি জনগোষ্ঠীর যে যে আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি, অনুষ্ঠান ও জীবনযাপন প্রক্রিয়া ইত্যাদিকে বুঝি তার মধ্যে ধর্ম একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ। ধর্ম ছাড়াও আরও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা এর অন্তর্ভুক্ত। এখন এই অন্য বিষয়গুলির যেকোনো একটিকে চর্চার বিষয় করলে সবাই (জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে) তাকে সংস্কৃতি চর্চা বলে আখ্যায়িত করবে। এবং সেখানে অন্য ধর্মের মানুষও নির্দ্বিধায় অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু সংস্কৃতির যে অংশ ধর্ম হিসাবে পরিচিত, তা সব ধর্মের মানুষ একটি বিশেষ ধর্মকে নিজের সংস্কৃতি হিসাবে গ্রহণ করবে না। তাই

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয়। ডিসেম্বর। ২০১৮

প্রতিভার বিকাশ ও বর্তমান ভারত : প্রতিটি শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ জানেন সব সম্পদের সেরা সম্পদ হল মানব সম্পদ। কারণ এই সম্পদকে বাদ দিয়ে প্রকৃতির কোন সম্পদই সত্যিকারের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে না। আবার এই মানব সম্পদ সত্যিকারের সম্পদ হয়ে উঠতে অপরিহার্য হল তার প্রতিভা। এটা নিয়েই মানুষ পৃথিবীতে আসে। কিন্তু তার বিকাশ হয় এই পৃথিবীতেই। এক্ষেত্রে সরকারকে নিতে হয় গুরুদায়িত্ব। না হলে তা সম্পদ হয়ে ওঠে না। মানব সম্পদের বিকাশে তাই প্রত্যেকটি দেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়।

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয়। সেপ্টেম্বর। ২০১৮

বাঙালি জাতিস্বত্তা ও তার সংকট : মাঝে মাঝে একটা বিষয় মাথায় এসে ঘোট পাকায়; না, বলা ভালো একরাশ প্রশ্ন জড় করে দেয়। তাদেরই একটা হল – আমরা আগে বাঙালি, না হিন্দু-মুসলিম? বলা বাহুল্য, বাঙালি জাতি তার জাতিস্বত্তাকে ভুলতে বসেছে। তাই তারা হিন্দু বা মুসলিম - এই পরিচয়কে আগে আনতে চাইছে। আর ভুলতে বসেছে বলেই এই প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। আমার মনে হয়, আমরা আগে বাঙালি তারপর হিন্দু বা মুসলিম। এই জাতিস্বত্তাকে জাগিয়ে তুলতে না পারলে বাঙালি আগে যেমন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তে বিভক্ত হয়েছে, তেমনি আবারও সে হয় বিভক্ত হবে, না হয় তার জাতিস্বত্তা বিলুপ্ত হবে। এখন দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, এই সংকট থেকে বাঙালির মুক্তি কিভাবে? লাখ নয়, কোটি কোটি টাকার প্রশ্ন এটা। আসুন ভেবে দেখি। আমরা যদি খোলা মনে প্রশ্ন করি, মানুষের জন্য ভাষা আগে এসেছে, না ধর্ম? সেই সঙ্গে আমরা যদি মানব সভ্যতার ইতিহাস ও তার বিবর্তনকে স্বীকার করি এবং যুক্তিবাদী হই, তাহলে মানতেই হবে, আগে ভাষা এবং তার অনেক পরে ধর্ম এসেছে। ভাষাই মানুষকে ভাবনা বিনিময় করতে শিখিয়েছে, আর তার মাধ্যমেই মানুষ জীবন-ধারণের উন্নত পথ ও পদ্ধতি বের করে মানব সভ্যতার জন্ম দিয়েছে এবং সর্বপরি

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয়। ঈদের মজা - আলী হোসেন

ঈদের মজা ঈদ এলো রে ঈদ এলো ঐ চড়ে সাওয়াল চাঁদে ঈদের খুশি ভাগ করে নাও কেউ যেন না কাঁদে ঈদের হাওয়া লাগলে গায়ে ঘুম থাকেনা চোখে খোকোন সোনার বায়না বাড়ে মা চলে যান বোকে মায়ের বকায় কান দিও না মন দিওনা পড়ায় পাড়ায় পাড়ায় জলসা হলে মন কি বসে ছড়ায় কেউ বোঝে না কেউ খোঁজে না ঈদের মজার মানে পায়েস পিঠায় মজায় বাড়ি তা-ই মায়েরা জানে আব্বা জানেন নমাজ রোজা হজ জাকাতের সার এতে, নেকির ভাড়ার শূন্য হবে কান যাবে না যার মজার মানে আমি জানি কেউ তোলে না কানে সবার মাঝেই সবাই আছেন ক’জন সেটা মানে।

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয়। গণতন্ত্রের মড়ক - আলী হোসেন

গণতন্ত্রের মড়ক বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। এই অবস্থান অবশ্য জনসংখ্যার নিরিখে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে তার স্থান ১৪০এ। কিন্তু একথা ঠিক যে, ষাটের দশক থেকে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত আছে। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি দু’বছরের জরুরি আইনের শাসন বাদ দিলে ভারতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিতে নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন বিশেষভাবে নজর কাড়ে এজন্য যে, প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করে, যা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় একটা রেকর্ড সৃষ্টিকারি ঘটনা। কিন্তু লজ্জার কথা হল, এত বছর গণতান্ত্রিক আবহ থাকা সত্ত্বেও তার পরিণত চেহারা আজও আমরা দেখছি না। প্রশ্ন হল কেন এমন হল। ভারতের খ্যাতনামা সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার বলেছেন, ভারতের শাসকরা ‘সোললেস’ হয়ে পড়েছেন। রজনী কোঠারির বিবেচনায় ভারত একটি ‘ফেইলড ডেমোক্রেটিক স্টেট’। অরুন্ধুতি রায় বলেছেন, ‘ব্রোকেন রিপাবলিক’। তিন প্রজন্মের তিনজন বিশিষ্ট ব্যাক্তির ভাষ্য ভারতকে কাঠগড়ায় তুলেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের পোষ্টমটেম করলে উল্লেখিত ভাষ্যকারদের বক্তব্য জীবন্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ

বাংলা সাহিত্য : সম্পাদকীয় : চেতনার জন্ম কিংবা মৃত্যু

সম্পাদকীয় : চেতনার জন্ম কিংবা মৃত্যু শিক্ষা আনে চেতনা আর চেতনা আনে বিপ্লব। এটা যে শুধু স্লোগান নয়, পরম সত্য তা আরও একবার প্রমানিত হল। প্রামাণ করলো ছোট্ট মেয়ে মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার মেয়ে মাত্র এগার বছর বয়সেই বুঝে ফেলেছে চেতনাহীন মানুষ পূর্ণ-মানুষ নয়; মানুষের রূপ পাওয়া একটা সাধারণ জীব-মাত্র। মানুষের সঙ্গে এইসব জীবের প্রধান পার্থক্যই নিহিত রয়েছে চেতনা থাকা আর না-থাকার মধ্যে। বস্তুত, চেতনা-রহিত মানুষ হিংস্র পশুর চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় হল, হিংস্র পশু ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে মুলতঃ দুটো কারণে। এক. ক্ষুন্নিবৃত্তি দুই. আত্মরক্ষা; যা প্রত্যেক জীবের সহজাত প্রবৃত্তি। আর চেতনাহীন মানুষের ভয়ঙ্কর ও হিংস্র হওয়ার পিছনে এদুটো প্রবৃত্তির কোনটারই কোন ভুমিকা থাকে না। ২৬/১১য় আজমল কাসবরা যা করেছিল কিম্বা মালালাকে যারা হত্যা করার চেষ্টা করেছে তা ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য নয়, আত্মরক্ষার জন্যও নয়। এক্ষেত্রে চেতনার মৃত্যুই একমাত্র কারণ। অন্যদিকে এই চেতনার সরব উপস্থিতিই মালালাকে করেছে বিপ্লবী। চেতনার খোঁজে তার লড়াই শুরু মাত্র এগার বছর বয়সেই। নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে তা