সমাজতন্ত্রই প্রকৃত পথ। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পদ্ধতি এবং প্রকৌশল বদলায়। বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে যে পদ্ধতিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে বিপ্লব (পরিবর্তন) করা আজ অনেক কঠিন। তার প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয় না। মতপার্থক্যের কথা বলছেন? তা তো থাকবেই। ধনতান্ত্রিকদের মধ্যে মত পার্থক্য নেই? তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়? সুতরাং মতপার্থক্য থাকবে। আর এটাই স্বাভাবিক। এই মতপার্থক্যকে মতৈক্যে পরিণত করার দায় এবং দায়িত্ব একমাত্র জনগণেরই নিতে হয়। আমার, আপনার এবং আমাদেরই নিতে হবে। আমরা যদি বুঝতে পারি, দুটো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার (ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক) মধ্যে কোনটা আমাদের জন্য উপযুক্ত, তাহলে সেই ব্যবস্থার সমর্থকদেরকে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। তারা বহু দলে বিভক্ত হলেও, একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের ভিত্তিতে তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। ঐক্যবদ্ধ যে হতে পারে, তার উদাহরণ বামফ্রন্ট তৈরি হওয়া, ইউপিএ তৈরি হওয়া এবং এনডিএ তৈরি হওয়া। মানুষ যেদিকে যাবে, রাজনৈতিক দল সেই দিকেই পথ হাঁটতে বাধ্য হবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। এখন আমি বা আপনি, এককথায় আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে, আমরা কোন মতাদর্শের পক...
ধর্ম ও সংস্কৃতির সম্পর্ক : সেঁজুতিকে খোলা চিঠি : সাথি সেঁজুতি, তুমি সুন্দর করে একটি নেতিবাচক ভাবনাকে ইতিবাচক ভাবনায় রূপান্তর ঘটালে। আসলে এই সহনশীলতার আজ বড়ই অভাব। এখানে (বাংলা সাহিত্য হোয়াটস অ্যাপ গ্রূপে) আমরা যারা আছি তাঁরা নিশ্চয়ই এভাবে ভাবতে পারি হয়তো। আমিতো খুবই পারি। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। একটু খুলে বলার চেষ্টা করি। প্রথমত: ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে যে সম্পর্ক তা বেশ জটিল। আমরা এই দুটিকে এক করে ফেলি। আসলে এই দুইয়ের মধ্যে অতিসূক্ষ অথচ তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য আছে। সংস্কৃতি বললে একটি জনগোষ্ঠীর যে যে আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি, অনুষ্ঠান ও জীবনযাপন প্রক্রিয়া ইত্যাদিকে বুঝি তার মধ্যে ধর্ম একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ। ধর্ম ছাড়াও আরও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা এর অন্তর্ভুক্ত। এখন এই অন্য বিষয়গুলির যেকোনো একটিকে চর্চার বিষয় করলে সবাই (জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে) তাকে সংস্কৃতি চর্চা বলে আখ্যায়িত করবে। এবং সেখানে অন্য ধর্মের মানুষও নির্দ্বিধায় অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু সংস্কৃতির যে অংশ ধর্ম হিসাবে পরিচিত, তা সব ধর্মের মানুষ একটি বিশেষ ধর্মকে নিজের সংস্কৃতি হিসাবে গ্রহণ করবে না। তাই...